মোঃহিরু মিয়া, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ গত ০২ মার্চ ২০২২ তারিখ ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার কালিচরণপুর ইউনিয়নের মান্দারবাড়িয়া গ্রামস্থ এলাকায় ওয়াজ-মাহফিলে গিয়ে ছুরিকাঘাতে হোসাইন(২০) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয় এবং আহত হয়েছে ফিরোজ(২০) ও জুলফিকার(১৮) নামে আরও দুই ভাই।

রাতে ওয়াজ মাহফিল উপলক্ষে গ্রাম্য মেলাতে ঘুরতে আসে তিন বন্ধু । ঔ সময় জিহাদী নামে এক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যের সাথে হঠাৎ ধাক্কা লাগে। উক্ত বিষয়টি নিয়ে কথা বাক-বিতন্ডতার এক পর্যায়ে

১। মো: শিলন হোসেন(২৪), ২। মো: নূর হুসাইন(২০) ৩। রাব্বী(২০) ৪। মো: সজিব(২০) ৫। তুষার(২০) এবং ৬। মেহেদী(২৫) এর সহযোগীতায় জিহাদী(২০) তাদের বেপরোয়াভাবে ছুরিকাঘাত করে।

স্থানীয়রা তিনজনকে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। পরে তাদের অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে গত ০৩ মার্চ ভোর রাতে আহত হোসাইন(২০) মারা যায়। এ বিষয়ে ভিকটিমের পিতা মো: মনিরুল ইসলাম(৩৭) বাদী হয়ে গত ০৪ মার্চ ২০২২ তারিখে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার বিষয়ে র‌্যাব-৬, ঝিনাইদহের একটি চৌকস আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামী গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৫ মার্চ ২০২২ তারিখ র‌্যাব-৬, ঝিনাইদহের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত কিলিং মিশনের অন্যতম সহযোগী ও মামলার ৪নং আসামী মো: রাব্বী(২০)ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার হাটগোপালপুর এলাকায় অবস্থান করছে।

প্রাপ্ত সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ রাত ০২:৩০ ঘটিকার সময় ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন হাটগোপালপুর গ্রামস্থ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান পলাতক আসামী ১। মোঃ রাব্বী(২০), পিতা- মো: লালন, সাং-বয়ড়াতলা, খানা- ঝিনাইদহ সদর, জেলা- ঝিনাইদহকে গ্রেফতার করে।

 

কলমকথা/ বিথী